ঝিঙে খোসায় তুমি যখন বুকের প্রপাত মাজো
ফেনায় ফেনায় তুমি যখন রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাজো
নদীর ঘাটে ছোঁ মেরে কাক সাবান চুরি করে
টেলখা জলের অথৈ নিদাঘ কাঁপে গহীন জ্বরে।
এ কোন খেলা ফাঁদছো তুমি ভাবের ঘরে অসীম
অধরাতে থাইকা নিজে পান করো সুখ সসীম
তবে কী হায় ধরার মাঝেই একঘেঁয়েমির সীমা
কে জানে কী হিসাব তোমার—হাড্ডি, না-কি কিমা!
দু'চোখ তুলে দৃশ্য খুলে ঘটনা কে ঘটায়
কে কার ভেতর চাইয়া চাইয়া আগুনপাখি রটায়
আমার ও তার ‘মীম’-এর পর্দা ঘুইচা গেলে ঘটে
আহাদ, না-কি আহাম্মদ—ও মত্ত দৃশ্যপটে।
ঘাম শুকানোর আগেই দেখি অমলিন এক ভোর
বুঝতে পারি—আদম-হাওয়া
আয়েশ করে লিখছে কেন অনন্ত সুখচোর।